দুদিন আগের কথা, তার মা নেই, বাবাও নেই। কথায় যাবে বুঝতে পারছিল না। এক বাড়ির কোনায় বসে ভাবছিল। ভাবছিল...তার মায়ের কথা, বাবা , ভাই, বোন। তার সব ছিল। সুস্থ স্বাভাবিক পরিবার। কোন কিছুরই অভাব ছিল না। ভাবতেই তার চোখের পানি আর শামলাতে পারল না। তার আর কিছুই মনে নাই। আর মনে আছে যে চোখ খুলেই ওই বিরাত দুনিয়া কাঁপানো বাসের আওয়াজ। আর কে যেন তাকে তুলে কোথায় নিয়ে আবার ছির ঘুমের ঘুম পারিএ দিয়েছে। তার পর আর কিছুই নেই। কিছুই মনে নাই। কোথায় আছে তাই জানে না। কিন্তু সুন্দর জামা পরে আছে। কিন্তু ময়লা। ধুলায় ভরা। আর রক্ত...?...রক্ত!!! আর এই দেখে শমকে গেল। তার পর শব মনে পরল। সে নবম ক্লাস-এ পড়ত। আর বাবা, মা, ভাই, বোন সব ছিল। কিন্তু কি হল? সেটাই মনে করতে পারছে না। তার কি গাড়ি accident হয়েছিল? না, কি জানি, মনে পরছে না। তার গাড়ি accident হলে তো তার এখন ভাল হয়ে বাড়ীতে থাকার কথা। কন্তু, সে এখানে কেন? তার মাথায় ধরছে না। যাই হোক সে ওই জাগায় আর থাকতে পারছে না। আস্থে আস্থে পকেটে হাত দিয়ে হাটতে হাটতে সে তার ব্যাপারে আবারও ভাবতে শুরু করল। তার পুরানো অভ্যাস এখনও রয়েছে, পকেটে হাত দিয়ে হাঁটা। আর সে দারিয়ে থাকতে পারছে না। খুব খারাপ লাগছে। কিছু খাওয়ারও নাই। মনে হচ্ছিল পাশের ডাস্টবিন থেকে যা পাবে খেয়ে নিবে। কিন্তু তাও পারছে না। অসহায় হয়ে না পেরে তার মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো। তার অভ্যাস ছিল, মানে ভাল লাগত ঘুমানো। তাই সে একটা ভাল দেখে জায়গা খুজে। শুয়ে ঘুমানর চেষ্টা করেও ঘুমাতে পারছিল না। খুদায় পেট ভিতর হয়ে গিয়ে ছিল। কোন মতে তার ঘুম আসছিল, তখনি এক লোক এসে তাকে ডাক দিয়ে কাছে এসে বুকে জড়িয়ে ধরে কি যেন বলছিল সে শুনতে পারছিল না। সে তা খেয়াল না করে সেই লোকটাকে তার প্রচণ্ড খিদার কথা বলল। লোকটা তার মত তার কথা বলেই যাচ্ছিল। কেউ কারুর কোথায় পাত্তা দিচ্ছিল না। হঠাৎ সব অন্ধকার হয়ে গেল। ছেলেটা তার নাম মনে করতে পারছিল না। সে কিছুই বুঝতে পারছিলো না। সে একটা অন্ধকার রুমে অন্ধকার হয়ে ছিল।
Thursday, November 10, 2011
দুদিন আগের কথা, তার মা নেই, বাবাও নেই। কথায় যাবে বুঝতে পারছিল না। এক বাড়ির কোনায় বসে ভাবছিল। ভাবছিল...তার মায়ের কথা, বাবা , ভাই, বোন। তার সব ছিল। সুস্থ স্বাভাবিক পরিবার। কোন কিছুরই অভাব ছিল না। ভাবতেই তার চোখের পানি আর শামলাতে পারল না। তার আর কিছুই মনে নাই। আর মনে আছে যে চোখ খুলেই ওই বিরাত দুনিয়া কাঁপানো বাসের আওয়াজ। আর কে যেন তাকে তুলে কোথায় নিয়ে আবার ছির ঘুমের ঘুম পারিএ দিয়েছে। তার পর আর কিছুই নেই। কিছুই মনে নাই। কোথায় আছে তাই জানে না। কিন্তু সুন্দর জামা পরে আছে। কিন্তু ময়লা। ধুলায় ভরা। আর রক্ত...?...রক্ত!!! আর এই দেখে শমকে গেল। তার পর শব মনে পরল। সে নবম ক্লাস-এ পড়ত। আর বাবা, মা, ভাই, বোন সব ছিল। কিন্তু কি হল? সেটাই মনে করতে পারছে না। তার কি গাড়ি accident হয়েছিল? না, কি জানি, মনে পরছে না। তার গাড়ি accident হলে তো তার এখন ভাল হয়ে বাড়ীতে থাকার কথা। কন্তু, সে এখানে কেন? তার মাথায় ধরছে না। যাই হোক সে ওই জাগায় আর থাকতে পারছে না। আস্থে আস্থে পকেটে হাত দিয়ে হাটতে হাটতে সে তার ব্যাপারে আবারও ভাবতে শুরু করল। তার পুরানো অভ্যাস এখনও রয়েছে, পকেটে হাত দিয়ে হাঁটা। আর সে দারিয়ে থাকতে পারছে না। খুব খারাপ লাগছে। কিছু খাওয়ারও নাই। মনে হচ্ছিল পাশের ডাস্টবিন থেকে যা পাবে খেয়ে নিবে। কিন্তু তাও পারছে না। অসহায় হয়ে না পেরে তার মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো। তার অভ্যাস ছিল, মানে ভাল লাগত ঘুমানো। তাই সে একটা ভাল দেখে জায়গা খুজে। শুয়ে ঘুমানর চেষ্টা করেও ঘুমাতে পারছিল না। খুদায় পেট ভিতর হয়ে গিয়ে ছিল। কোন মতে তার ঘুম আসছিল, তখনি এক লোক এসে তাকে ডাক দিয়ে কাছে এসে বুকে জড়িয়ে ধরে কি যেন বলছিল সে শুনতে পারছিল না। সে তা খেয়াল না করে সেই লোকটাকে তার প্রচণ্ড খিদার কথা বলল। লোকটা তার মত তার কথা বলেই যাচ্ছিল। কেউ কারুর কোথায় পাত্তা দিচ্ছিল না। হঠাৎ সব অন্ধকার হয়ে গেল। ছেলেটা তার নাম মনে করতে পারছিল না। সে কিছুই বুঝতে পারছিলো না। সে একটা অন্ধকার রুমে অন্ধকার হয়ে ছিল।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment